মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
মেধাবী-দক্ষদের জন্য ভিসা ফি বাতিল করছে যুক্তরাজ্য গণঅধিকার পরিষদ-এনসিপি একীভূত হবে, গড়বে তরুণদের সবচেয়ে বড় জোট: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বিশেষ রাজনৈতিক দলের লোকজনকে ডিসি-এসপি বানানো হচ্ছে: রিজভী টঙ্গীতে গুদামে আগুন -২ ফায়ার ফাইটার ১০০ শতাংশ দগ্ধ, পিপিও পুড়ে গেছে: ডিজি প্রযুক্তির বিকাশ জীবন সহজ করেছে, নৈতিক অবক্ষয়ও তীব্রতর হয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা ১৬ অক্টোবর রাকসু নির্বাচন সাগরে লঘুচাপ, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের পথে নুরুল হক ‍নুর নির্বাচন পরিচালনায় আওয়ামী দোসরদের সম্পৃক্ত করা যাবে না : ফারুক ফিলিস্তিনকে চার দেশের স্বীকৃতিকে স্বাগত জানাল বাংলাদেশ

কাশ্মীরে হামলা ভারতের ‘সাজানো নাটক’, দাবি পাকিস্তানের

ভারতশাসিত কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের ওপর ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা ভারত সরকারের ‘সাজানো নাটক’ বলে দাবি করেছে পাকিস্তান। তারা বলেছে, ভারত যেন এ ধরনের ‘নিন্দনীয় কর্মকাণ্ড’ থেকে সরে আসে।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) বৈঠক শেষে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বলা হয়, ভারত যেন পহেলগাম হামলার মতো ঘটনা ‘পরিকল্পিতভাবে সাজিয়ে, পরিচালনা করে, এবং রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে কাজে লাগানোর’ পথ পরিহার করে।

গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুকধারীদের গুলিতে কমপক্ষে ২৬ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে ২৫ জন ভারতের ও একজন নেপালের নাগরিক। এ সময় আহত হন আরও ১৭ জন। এ ঘটনায় ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানকে দোষারোপ করা হচ্ছে।

 

পহেলগাম হামলায় পাকিস্তানকে দায়ী করার ভারতের এই প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করে শুক্রবার পাকিস্তানি সিনেট সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব পাস করেছে। প্রস্তাবটি উপস্থাপন করেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার। এতে বলা হয়, পাকিস্তান তার সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষায় সম্পূর্ণ সক্ষম ও প্রস্তুত রয়েছে — হোক তা পানিসন্ত্রাস কিংবা সামরিক উসকানি।

প্রস্তাবে বলা হয়, পহেলগাম হামলার সঙ্গে পাকিস্তানকে জড়ানোর ভারতের যে ‘ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত চেষ্টা’, তা সিনেট স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করছে। একইসঙ্গে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের ‘পরিকল্পিত ও অসৎ প্রচারাভিযান’-এরও তীব্র নিন্দা জানানো হয়।

 

প্রস্তাবে ভারত কর্তৃক ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানিচুক্তিকে একতরফাভাবে স্থগিত করাকে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল বলে উল্লেখ করা হয়। এই চুক্তি বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত হয়েছিল এবং দশকের পর দশক ধরে যুদ্ধ ও বৈরিতার মধ্যেও টিকে ছিল।

পহেলগাম হামলার পর ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে, কূটনৈতিক সম্পর্ক কমিয়ে দেয় এবং ইসলামাবাদকে ‘সীমান্তপারে সন্ত্রাসে মদদদাতা’ হিসেবে অভিযুক্ত করে পদক্ষেপ নেয়।

সিনেটের প্রস্তাবে আরও বলা হয়, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান যেভাবে ভারতের আগ্রাসনের জবাব দিয়েছে, ভবিষ্যতেও যেকোনো ভুল পদক্ষেপের মুখে কঠোর ও সঠিক জবাব দেওয়া হবে।

 

প্রস্তাব পেশকালে ইসহাক দার বলেন, কেউ যদি পাকিস্তানে আগ্রাসনের চিন্তা করে, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত। অতীতে যেমন জবাব দিয়েছি, এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না।

তিনি সতর্ক করে বলেন, ভারতের এমন কোনো পদক্ষেপ পুরো অঞ্চলজুড়ে শান্তি, স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসের প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করবে।

সূত্র: ডন

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2024